January 5, 2025, 2:09 am

ভারতে চিকিৎসা-ব্যবসা বা ভ্রমণে ৩ শর্ত

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : Friday, August 14, 2020,
  • 107 Time View

চিকিৎসা, ব্যবসা বা ভ্রমণ- যেকোনো কারণে ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করতে হলে উভয় দেশের পাসপোর্টযাত্রীদের নতুন তিনটি শর্ত মানতে হবে। তবেই উভয় দেশে প্রবেশের অনুমতি পাবেন পাসপোর্টযাত্রীরা।

বাংলাদেশিরা চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণের জন্য ভারতে যেমন যান, তেমনি ভারতীয়রা ব্যবসা, ভ্রমণ ও আত্মীয়-স্বজনদের দেখতে এ দেশে আসেন। ভারত ও বাংলাদেশ, দুই বন্ধুদেশে নাগরিকদের যাতায়াতে তেমন কোনো বাধা ছিল না। তবে এখন পরিস্থিতি আলাদা। করোনার আবহে তাই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত অবাধ থাকলেও কয়েকটি শর্ত মানতে হবে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসা, ব্যবসা বা ভ্রমণ- যেকোনো কারণে উভয় দেশে যেতে হলে কয়েকটি শর্ত এবার থেকে মানতে হবে। শুক্রবার সকালে শর্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি মহাসিন কবির।

নতুন শর্তের মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভারতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বৈধ পাসপোর্ট ও ২০২০ সালের ১ জুলাই ইস্যুকৃত ভিসা থাকতে হবে। সেই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনের অনুমতিপত্র। যাত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে কভিক-১৯-এর নেগেটিভ সার্টিফিকেট। সেই সার্টিফিকেট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হতে হবে ও ভারতে প্রবেশ করতে হবে। তবেই ভারতে প্রবেশের ছাড়পত্র পাবেন যেকোনো বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী।

ভারতীয় পাসপোর্টযাত্রীদের বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে হালনাগাদ পাসপোর্ট, ভিসার পাশাপাশি ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র ও কভিক-১৯-এর নেগেটিভ সার্টিফিকেট। সেই সার্টিফিকেট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হতে হবে ও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে হবে। তার পরই বাংলাদেশে প্রবেশের ছাড়পত্র পাবেন যেকোনো ভারতীয় পাসপোর্টধারী।

করোনা পরিস্থিতিতে অনেক ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রী আটকে রয়েছেন বাংলাদেশে। লকডাউনের জেরে দেশে ফিরতে পারেননি তাঁরা। অনেকের ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। তাঁদের দেশে ফেরার ক্ষেত্রেও রয়েছে নতুন শর্ত। শর্তের মধ্যে রয়েছে বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা নবায়ণ (জরিমানা ব্যতীত ভিসা ও ফি প্রদানপূর্বক) ভারতীয় হাইকমিশনের অনুমতিপত্র ও কভিক-১৯-এর নেগেটিভ সার্টিফিকেট। সেই সার্টিফিকেট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হতে হবে ও ভারতে প্রবেশ করতে হবে।

জানা যায়, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশ ভারতে ছড়িয়ে পড়লে তা প্রতিরোধে দুই দেশের সরকার বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়। এর মধ্যে ভারত সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে গত ১৩ মার্চ থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারতে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আবার তাদের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরার পথ বন্ধ হয়ে যায়।

পরে ভারতে আটকে থাকা কয়েক হাজার বাংলাদেশি স্থল ও আকাশপথে ফিরে আসেন। অনেক ভারতীয়ও ফিরে যায় স্থল ও আকাশপথে। এ ছাড়া ২২ মার্চ থেকে বেনাপোল বন্দরের রেল ও স্থলপথে ভারত সরকার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। রেল ও স্থল পথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। এখন শর্ত সাপেক্ষে চালু হলো যাত্রীদের যাওয়া-আসা। করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতে বিভিন্ন দেশ এখনো ভিনদেশিদের প্রবেশ অবাধ করেনি। কয়েকটি দেশ শর্ত সাপেক্ষে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি মহাসিন কবির জানান, বাংলাদেশিদের ভারত ভ্রমণ, ভারতীয়দের বাংলাদেশ ভ্রমণ বা বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলে তারা যাতায়াত করতে পারবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71